ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩০ জন জলদস্যু'কে গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

রুদ্ধশ্বাস অভিযানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোটে দুর্র্ধষ গণডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩০ জন জলদস্যু'কে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম; গণডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০২টি ট্রলার জব্দ।
******************************************
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জলদস্যূদের গ্রেফতারে সচেষ্ঠ। বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা এবং বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যু বাহিনীদের আক্রমণে সাগরে জেলেদের উপর অমানবিক অত্যাচার, জুলুম, চাঁদাবাজি, অপহরণ, প্রাণ নাশের হুমকি সহ হত্যার মত জঘন্য ঘটনাও ঘটছে। এসব ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের দাপটে তটস্থ জেলেরা। র‌্যাবের উপর্যপুরি অভিযানের এক পর্যায়ে সশস্ত্র জলদস্যুরা গত ২০১৮ এবং ২০২২ সালে র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাদের তথাকথিত গডফাদাররা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। আত্মসমর্পণের পর সাগরে ডাকাতি কিছুদিন বন্ধ থাকলেও তথাকথিত গডফাদাররা নতুন ডাকাত সদস্য রিক্রুট করে পুনরায় জলদস্যু গ্রুপ তৈরী করে। উক্ত তথাকথিত গডফাদারের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোঁখ ফাকি দিয়ে নিজেদের ট্রলার নিয়ে অন্য যেকোনো কোম্পানির বোট ডাকাতি করে মাঝিমাল্লাদের বেধড়ক পিটিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নামিয়ে দিয়ে জলদস্যুরা লুটকৃত কোম্পানির বোট দিয়ে ডাকাতি চালিয়ে যায় জলদস্যূরা। যাতে তথাকথিত গডফাদারদের কেউ চিহ্নিত করতে না পারে।
 
May be an image of 8 people and text
 
র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের নিকট অভিযোগ গৃহীত হয় যে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের, ভোলা ও বরিশাল উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যু বাহিনী কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর সম্প্রতি তারা আবারও পূর্বের ন্যায় সাগরে জেলেদের উপর অত্যাচার, জুলুম, চাঁদাবাজি এবং অপহরণসহ সকল প্রকার অন্যায় কাজ পরিচালনা করছে। ভুক্তভোগীদের এরুপ অভিযোগের বিষয়টি র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম মানবিকতার সহিত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে উল্লেখিত এলাকায় ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১১ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ থেকে অদ্য ১২ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের স্থল ও সাগর পথে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের আভিযানিক দল দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। করিম (৩৩), পিতা- আঃ ছত্তার, সাং- দক্ষিণ পূর্বপাড়া, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, ২। মোঃ রুবেল (৩৩) পিতা- মৃত জয়নাল আবেদীন, সাং-ওয়াইজার পাড়া, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ৩। মোঃ জফুর (৩৫), পিতা-মৃত মেখের আলী সাং-গহিরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ৪। শফি আলম (৪০), পিতা-জবন হোসেন, সাং-গহিরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ৫। আঃ রহিম (২৫), পিতা-নোয়া মিয়া, সাং-গোবাদিয়া, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ৬। মোঃ শামীম (২১), পিতা-মোঃ দুলাল বলি, সাং-আয়েমাবাগ, থানা-চর ফ্যাশন, জেলা-ভোলা, ৭। মোঃ ইউসুফ (২৯), পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান বলি, সাং-আয়েশাবাগ থানা-চরফ্যাশন, জেলা-ভোলা, ৮। শাজাহান বেগম (৩৭), পিতা-মৃত কাঞ্চন মাঝি, সাং-জিন্নাহ, থানা-চরফ্যশন, জেলা-ভোলা, ৯। মোঃ সাহাব উদ্দিন (৩৫), পিতা-মোঃ রবি আলম, সাং-শান্তিনগর, থানা-শষীভূষন, জেলা-ভোলা, ১০। মোঃ শওকত (৩৭), পিতা-মৃত নুর মোহাম্মদ, সাং-সুন্নাহপাড়া,থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ১১। মোঃ ইসমাইল (২৬), পিতা-মোঃ আলমগীর, সাং-বোয়ালীয়া, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ১২। দেলোয়ার ইসলাম (৪২), পিতা-আবু সৈয়দ, সাং-উত্তর দুরুম, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ১৩। নুর মোহাম্মদ (১৭), পিতা-হাসান শরীফ, সাং-ভোটতলী থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ১৪। আব্দুর রহিম সিকদার (৩৪), পিতা-আফজাল আহমদ, সাং-বারখাইন, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ১৫। মোঃ মফিজুর রহমান (৩০), পিতা-মৃত ইয়ার মোহাম্মদ, সাং-গোবাদিয়া, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম, ১৬। ফজল হক (৪০), পিতা- মৃত মোঃ শফি, সাং-দোয়াশি বাজার, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ১৭। মোঃ গিয়াস উদ্দিন (২৬), পিতা- বাদশা মিয়া, সাং-আন্দার ঘোনা, থানা-মহেশখালি, জেলা-কক্সবাজার, ১৮। মোঃ কাছেদ (১৯), পিতা-নুরুল হক, সাং-বোয়ালিয়া, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম, ১৯। মোঃ আকিদ খান (৩৭), পিতা-মৃত হবিবুর রহমান, সাং-গোবাদিয়া, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম, ২০। মোঃ দিদারুল ইসলাম (৩৩), পিতা-মৃত জমির উদ্দিন, সাং-দক্ষিন দুরুম, থানা- কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ২১। মোঃ নাইম (১৯), পিতা-আক্তার হোসেন, সাং-আলী আকবর সিকদার পাড়া, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ২২। মোঃ হারুন (৪৪), পিতা-আব্দুর সবুর, সাং-দক্ষিন পূর্ব পাড়া, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম, ২৩। মোঃ ইয়াছিন(২৯), পিতা- মৃত-আব্দুর সবুর, সাং-দক্ষিণ পূর্ব পাড়া, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম,২৪। মোঃ খলিলুর রহমান (২৫), পিতা-আবুল কালম, সাং- কুর্দ্দ গহিরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম, ২৫। মোঃ ইকবাল হোসেন (২৪), পিতা-সালেহ আহম্মদ, সাং- কুর্দ্দ গহিরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, ২৬। মোঃ শাহেদ (২২), পিতাÑমোঃ রফিক, সাং-কুর্দ্দ গহিরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম, ২৭। মোঃ হোসেন (২৭), পিতা-মৃত ইয়ার মোহাম্মদ, সাং-কুর্দ্দ গহিরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম, ২৮। মোঃ আলী হোসেন (২৪), পিতা-আব্দুস সালাম, সাং-কুর্দ্দ গহিরা, থানা-আনোয়ারা , জেলা-চট্রগ্রাম, ২৯। আব্দুল মান্নান (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল খালেক, সাং- কুর্দ্দ গহিরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রাম, ৩০। মোঃ সোলায়মান (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল রশিদ, সাং-কুর্দ্দ গহিরা, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্রগ্রামদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত সকল আসামীদের জ্ঞাতসারে তাদের নিজ হেফাজতে থাকা ০২ টি ট্রলার থেকে ০৮টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ০৫টি কার্তুজসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান সরাঞ্জাম উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
 
May be an image of 9 people
 
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পুরো এক/দুই সপ্তাহ বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি করে দাপিয়ে বেড়ায়। গডফাদারদের কাজ হলো অস্ত্র, গুলি এবং ট্রলারের যোগান দেয়া। বিভিন্ন নৌ/লঞ্চ/স্টীমার ঘাটে সোর্সের মাধ্যমে আইন শৃংখলা বাহিনী সাগরে অভিযানে যাচ্ছে কিনা তা তদারকি করে জলদস্যুরা উপকূলে আসার সময় তা অবগত করাসহ বোট মালিক এবং মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে ডাকাতির মাছ ও মালামাল বিক্রি করে। এছাড়াও জলদস্যুরা সাগরে গিয়ে ডাকাতি করে মাছ এবং মালামাল বিক্রয়ের টাকা ৪০% কথিত গডফাদারের, ২০% তেল খরচ এবং বাকী ৪০% ডাকাতি সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সদস্যদের মাঝে বন্টন করতো।
গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে আরোও জানা যায়, প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের ০৩টি সশস্ত্র ডাকাত চক্র (ভোলা, বরিশাল, কুতুবদিয়া এবং আনোয়ারা এলাকায়) একত্রিত হয়ে সাগরে বড় পরিসরে দস্যূতার পরিকল্পনা করছে। উল্লেখিত চক্রটির পরবর্তী ১০-১২ দিনের মধ্যে প্রায় ১৫-২০ টি ট্রলারে ডাকাতি করার পরিকল্পনা ছিল। ডাকাতি শেষে লুটপাটকৃত মাছ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলের দিকে নিয়ে বিক্রয় করা হতো। পরবর্তীতে লভ্যাংশ আনোয়ারা-কুতুবদিয়া এলাকার জলদস্যুদের নিকট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হত। অভিযানের পরিকল্পনা অনুযায়ী র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি চৌকস আভিযানিক দল পতেঙ্গা হতে দক্ষিণ-পশ্চিমে গহীন সমুদ্রে তাদের গতিরোধের চেষ্টা করলে তারা র‌্যাবকে প্রতিহত করে এবং তাদের দিক পরিবর্তন করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌ-বন্দর এলাকার ১৫নং ঘাটের দিকে আসতে থাকে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা তাদের ২টি ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রলার থেকে অস্ত্র ও ডাকাতির মাছ এবং মালামালসহ ৩০ জনকে আটক করে।
এছাড়াও বিশেষ সুত্রে জানা যায়, এই ডাকাত দল মূলত তিনটি পর্বে বিভক্ত হয়ে তাদের দস্যূতার কার্যক্রম পরিচালনা করত। বিস্তারিতঃ
ধৃত আসামি শাহেদ মাঝী ছিল প্রথম গ্রুপের দলনেতা সে মূলত কুতুবদিয়া এলাকার অধিবাসি। তার দলের কাজ ছিল ডাকাতি করার জন্য অস্ত্র, বোট, জাল এবং আনুসাঙ্গিক যে সকল সরঞ্জামাদি লাগতো সেগুলো সরবরাহ করা। ধৃত আসামির মধ্যে শাহেদ মাঝীর দলে ০৯ জন ডাকাত সদস্য ছিল।
ধৃত আসামি ইউসুফ মাঝী ছিল ২য় গ্রুপের ডাকাত নেতা এবং ডাকাতির মূল পরিকল্পণাকারী। সে প্রথমে ডাকাতির জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিবার্চন করতঃ বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করে ডাকাতির জন্য প্রস্তুত করে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় একত্রিত করত। এরপর ডাকাতির স্থান নির্বাচন করে নিজে সশরীরে হাজির থেকে ডাকাতির কার্যক্রম সম্পন্ন করত ধৃত আসামি ইউসুফ। ধৃত আসামির মধ্যে ইউসুফ মাঝীর দলে ১১ জন ডাকাত সদস্য ছিল।
ধৃত আসামি করিম মাঝী ছিল ৩য় গ্রুপের ডাকাত নেতা। তার কাজ ছিল ডাকাতির পরে লুন্ঠিত যে সকল বোট, মাছ, জাল এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি সংগ্রহপূর্বক সুবিধামত বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে উক্ত টাকা গ্রæপের সকল সদস্যকে সমানভাবে বন্টন করা। উল্লেখ্য যে, ডাকাত সর্দার ইউসুফ মাঝী এবং করমি মাঝীর নিজস্ব বোট ও কোম্পানী রয়েছে যা দিয়ে তারা মাঝীর ছদ্মবেশে সমুদ্রে দস্যূতার কার্যক্রম পরিচলানা করত বলে তথ্য পাওয়া যায়। ধৃত আসামির মধ্যে করিম মাঝীর দলে ১০ জন ডাকাত সদস্য ছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে স্বীকার করে যে, তারা কয়েকটি সংঘবদ্ধ চিহিৃত শীর্ষ জলদস্যূ ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী এলাকার সংঘবদ্ধ জলদস্যূ ঘটনায় সম্পৃক্ত সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও এই দল গুলো দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী থানা এলাকাসহ সাগর পথে বিভিন্ন চ্যানেলে ডাকাতি করে আসছে। উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিষয়োক্ত অপরাধের কারনে তাদের প্রত্যেকের নামে অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত আগ্নেআস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সরঞ্জামাদি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।