সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুরের স্ব-ঘোষিত ফুলমিয়ার বাজারে ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০২:১৬ দুপুর

আবুল কালাম আজাদ ওরফে ফুল মিয়া নিজেই এই সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলদারত্বের সূচনা করে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের স্ব-ঘোষিত ফুল মিয়ার বাজারে মো: আবুল কালাম আজাদ ওরফে ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
এই দুষ্কৃতকারী আবুল কালাম আজাদ ওরফে ফুল মিয়া জাতীয় পার্টির রাজনীতি করার কারনে ২০১৫ সালে সুন্দরগঞ্জ ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডের কাছে নিজেকে শিক্ষক ও সমাজসেবকসহ ভূয়া জমির মালিক দেখিয়ে চাপড়া নামের পরিবর্তে ফুল মিয়ার বাজার নামকরণ করে রাজস্ব খাস আদায়ের সরকারি আওতাভুক্ত করা হয়। সরকারের আওতাভুক্ত হওয়ার পরেই আবুল কালাম আজাদ ওরফে ফুল মিয়া নিজের নামে সাইনবোর্ড বানিয়ে বাজারের চারিদিকে স্থাপন করে এবং দাপটের সাথে বাজারের দখল নেয়। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাব হোসেন খুশিও তার নিজ ভাই ফুলমিয়া নামকরণে ওই সময়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সেই সাথে ফুল মিয়ার সন্তানরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আচমকাই মারামারির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে আসছে।
স্থানীয় একাধিক গন্যমান্য ব্যক্তি বলেন, এই ফুল মিয়া নিজের ঢোল নিজেই পটাচ্ছে। আমরা কিছু বলতে গেলেই সন্ত্রাসী দলবেঁধে এসে সম্মান হানির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সুন্দরগঞ্জ আসনের তৎকালীন ফ্যাসিবাদ মহাজোটের সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সাথে সখ্যতা রেখে ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ ওরফে ফুল মিয়া তার নামে বাঁধ মোড়কে নিজ নামে নামকরণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমি দখল নিয়ে সেখানে কয়েকটি দোকানঘর স্থাপনে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্য করে আসছে। তৎকালীন এমপি জাতীয় পার্টির এই দুষ্কৃতকারী ফুলমিয়ার নামে ১
২০১৫ সালে বাজারের নামকরণ করে সেই নামটি বৈধতা পেতে খাস রাজস্ব আদায়ের আওতাভুক্ত করেছে। ফলে ওই সময় থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ প্রকাশ পেলেও ফ্যাসিবাদি ক্ষমতার কারনে তার সমাধান হয়নি। বাজারটির পুরোনো নাম ছিল"চাপড়া বাজার" কিন্তু এই দুষ্কৃতকারী ফুলমিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে নিজ নামে বাজারের নাম করণ করার পর যারাই সরকারি জমিতে দোকান স্থাপন করবে তাদের কাছে মোটা অংকের চাদাবাজি করে আসছে বলে ওই এলাকার মৃত নবাব আলীর পুত্র শাহ আলম মিয়াসহ এলাকাবাসী প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, স্ব-ঘোষিত ফুল মিয়ার বাজারের মালিক দাবিকরা ত্রাস ফুল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমির দখল নিয়ে সেখানে ঘরের বিপরীতে মো: আলাউল ইসলামের কাছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মো: মফিজল হকের কাছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং আতোয়ার হোসেনের কাছে ৯০ হাজার টাকাসহ আরো অনেকের দোকান বসিয়ে দিতে মোটা অংকের চাঁদা নিয়েছেন।
ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে এতো সব অভিযোগের পরেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন না হওয়ায় এই দুষ্কৃতকারী সংঘবদ্ধ চক্র তৈরী করে বেপরোয়া কর্মকান্ড করে এলাকায় মব সৃষ্টি করছে।
ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অনেক অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন তাকে আইনের আওতায় আনতে পারছে না।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাফিজুল হক স্বাক্ষরিত গত ২৪ মে পাঁচ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও ফুল মিয়া তার স্থাপনা অপসারণ করেনি। দাপট দেখিয়ে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী নির্দেশ উপেক্ষা করেছে। এসব ঘটনা দীর্ঘ দিন ধরে করে আসলেও প্রশাসনিক নিরবতা ফুলমিয়াকে উশৃংখল করেছে।
স্থানীয় শাহ আলম মিয়া বলেন, সন্ত্রাসী ও দখলবাজ ফুলমিয়ার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমি আবারে প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ করবো প্রতিকার না পেলে জনস্বার্থে আন্দোলন গড়ে তুলবো।
বিষয়টি নিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল হাকিম জানান, ফুল মিয়ার বাজার নামকরণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। এলাকাবাসী পূর্বের নামে নামকরণ চাচ্ছে এবং ফুল মিয়া তার নিজের নামে রাখতে অনড় অবস্থানে। বিষয়টি যেহেতু রাজস্ব সংক্রান্ত সেক্ষেত্রে সমাধান ইউএনও মহোদয় করতে পারে।