ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ

আহার ও শিহাবের ব্যাটিং নৈপুণ্যে আইরিশদের হারাল যুবারা

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ২২, ২০২৪, ১১:১০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

 

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ভারতের বিপক্ষে লড়াইটা জমিয়ে করতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছে দলটি। বোলারদের সঙ্গে জ্বলে ওঠেন ব্যাটাররাও। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দারুণ জয় তুলে সুপার সিক্সের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল যুবা টাইগাররা।

সোমবার ব্লুমফন্টেইনে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৫ রান করে আইরিশরা। জবাবে ১৯ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে যুবা টাইগাররা।

শুরু থেকে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও প্রতিরোধ গড়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের কিয়ান হান্টার। তার ব্যাটেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। তবে দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও আদুল বিন সিদ্দিকের ব্যাটে ভালো সূচনা পায় বাংলাদেশ। এরপর মাঝে কিছুটা বিপর্যয়ে দেখা দিলেও আহরার আমিন ও মোহাম্মদ শিহাব জেমসের ব্যাটে সহজ জয়ই পায় বাংলাদেশ।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শিবলি ও আদিল গড়েন ৯০ রানের জুটি। কিন্তু এরপর হুট করেই ধস নামে যুবাদের ব্যাটিং লাইনআপে। স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যোগ করতে চারটি উইকেট হারায় তারা। তাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল দলটি। ম্যাথিউ ওয়েল্ডনের বলে উইকেটরক্ষক রায়ান হান্টারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আদিল সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৬৩ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করেন এই ওপেনার।

আর স্কট ম্যাকবেথের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার শিবলি। ৬০ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান আসে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের কাছ থেকে। তিনে নেমে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। ২৯ বলে ২১ রানও করেছিলেন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। জন ম্যাকনেলির বলে ম্যাকবেথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন যান তিনি।

এর আগে ১৩ বলে ১৩ রান করেন ম্যাকবেথের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৩০ রানে চার উইকেট হারানো দলটির হাল শিহাবকে নিয়ে ধরেন আহরার। ইনিংস মেরামতের পাশাপাশি রানের চাকাও সচল রাখেন তারা। শেষ পর্যন্ত  দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটার। গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১০৯ রানের জুটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন শিহাব। ৫৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। ৬৩ বলে ৪৫ রান করেন আহরার। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন এই ব্যাটার। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ৪১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান ম্যাকবেথ।

এর আগে টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ভালোই করে আইরিশরা। দলীয় ২৬ রানে বাংলাদেশের হয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন মারুফ মৃধা। রায়ান হান্টারকে (৯) ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। স্কোরবোর্ডে আর ১৯ যোগ করতে গ্যাভিন রোলস্টনকে (৫) ফেরান শেখ পারভেজ জীবন।

এরপর কাইন হিল্টনের সঙ্গে দলের হাল ধরেন জর্ডান নেইল। ২৭ রানের এ জুটি ভাঙেন রাফিউজ্জামান রাফি। জর্ডানকে বোল্ড করে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ৫টি চারের সাহায্যে ৩১ রান করেন এই ওপেনার। এরপর হিল্টনের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে জীবনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আইরিশ অধিনায়ক ফিলিপ্পাস লি রক্স (১৩)। ফলে একশ রানের আগেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড।

এরপর হিল্টনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন স্কট ম্যাকবেথ। দেখে শুনে ব্যাটিং করতে থাকেন তারা। পঞ্চম উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি। ম্যাকবেথকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ৫৩ বলে ২৭ রান করেন এই ব্যাটার।

তবে এক প্রান্ত আগলে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন হিল্টন। মারুফ মৃধার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে খেলেন ৯০ রানের ইনিংস। ১১৩ বলে ১১টী চার ও ১টী ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি। আর উইকেটে নেমে কিছুটা হাত খুলে খেলতে থাকেন জন ম্যাকনেলি। ২৪ বলে ২৩ রান করে দলের লড়াকু পুঁজি গড়তে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে ৮ ওভার বল করে ৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন মারুফ। ১০ ওভার বল করে ৪ রানের বিনিময়ে ২টি শিকার জীবনেরও।