ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে যেসব পুষ্টিকর খাবার!!

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩, ১১:০০ দুপুর  

জীবদেহে শক্তির উৎস হল খাদ্য।আমাদের দৈনিক কাজকর্ম, চিন্তাভাবনা ও শারীরিক পরিশ্রমের জন্য দেহের ক্ষয় হয়। খাদ্য সেই ক্ষয় পূরণ করে। তাই দেহের পুষ্টির জন্য খাদ্য একান্ত প্রয়োজন।আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাবার প্রয়োজন। আমরা একটু খাবারের প্রতি সচেতন হলে সবাই স্বুস্থ্, সবল, সুন্দর থাকতে পারি। শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ও বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ হতে রক্ষা পেতে হলে সব ধরনের ভিটামিন জাতীয় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিৎ

শরীরে শক্তি বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেয়ে গেলেই দেহে  দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। তাই দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হওয়া জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবারকে অবশ্যই প্রাধান্য দিবেন।

এবার জেনে নেয়া যাক  শক্তি বৃদ্ধি করে যে খাবারগুলো:

ডিম

ডিম অধিক প্রোটিন প্রদানকারী খাবার। দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে ডিম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর ভিটামিন বি১২ খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ টি করে ডিম খান, এতে আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি হবে।

দুধ

দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং প্রাণিজ-ফ্যাট আছে যা দ্রুত দৈহিক শক্তির উন্নতি ঘটায়। যেমন খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। ছোটদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রতিদিন এই খাবারগুলো রাখবেন।

মিষ্টি আলু

মিস্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় এ খাবারটি দ্রুত শরীরে পুষ্টি যোগাতে পারে।

দই

সকালের নাস্তায় অনেকে দই খেয়ে থাকেন। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় দীর্ঘসময় ধরে শরীরে পুষ্টি যোগায়।

বীজজাতীয় খাবার

বীজজাতীয় খাবারগুলোতে থাকে প্রচুর ভেষজ প্রোটিন। মাংসের পাশাপাশি শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে এ ধরনের খাবার খুব কাজ করে। যেমন: মটরশুঁটি, ডাল, বাদাম ইত্যাদি।

মধু

হাজারো গুণে ভরা মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ আছে যা শরীরে শক্তি যোগায়। দৈহিক দুর্বলতার সমাধানে মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতিদিন পরিমাণ মত মধু খেতে পারেন। মধু দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি করে। পানির সঙ্গে মধু মিলিয়ে খেতে পারেন।

বাদাম

বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। বাদাম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, এটি কোলেস্টেরল কমায়। এ ছাড়া এর রয়েছে আরও অনেক গুণ। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম বাদাম খেলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, মিনারেল এবং সারাদিনের শক্তির জোগান দিতে পারে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

খেজুর ও কিশমিশ

দেহে শক্তির অন্যতম উৎস হলো খেজুর ও কিশমিশ। এগুলো খেলে দেহে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। অধিক ক্ষুধার্ত্য অবস্থায় শরীর ক্লান্ত লাগে এ মুহূর্তে তিন-চারটি খেজুর খেলে  আপনার শরীরে শক্তি ফিরে আসবে।  

কলা

কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম দৈহিক শক্তি বাড়ায়। তাছাড়া কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে ক্লান্তি দূর হয়। সহজ লব্য এই কলা সকালের নাস্তায় নিয়মিত রাখুন।

গরুর মাংস

গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান।

কফি

কফি দৈহিক শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা শক্তি বাড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে ক্লান্তি দূর করে কফি।

চকলেট

চকলেটে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন ও সেরোটোনিন নামক উপাদান যা আমাদের দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। ভেজালমুক্ত চকলেট বেছে নিন।

ভিটামিন সি জাতীয় ফল

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রাখুন ভিটামিন-সি যুক্ত  ফলমূল যেমন আঙ্গুর, কমলা, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি। এই ফলগুলো দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।

প্রত্যেকেরই এই খাবারগুলোর সঙ্গে পরিচয় আছে। আপনার হাতের নাগালেই এই খাবারগুলো পাচ্ছেন যা দৈহিক দুর্বলতাকে দ্রুত দূর করে আপনাকে করে তুলতে পারে প্রাণবন্ত। তাই আজে বাজে খাবার খেয়ে নিজের শরীরের ক্ষতি না করে উপরোক্ত পুষ্টিকর খাদ্যগুলো খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।