ঢাকা, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকারের সময়োচিত উদ্যোগ বাস্তবায়নে পুলিশ জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৯:২৮ রাত  

সংগ্রহীত ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে পুলিশ বাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪’উপলক্ষ্যে সোমবার এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে জাতির পিতা যে বাহিনীর পুনর্গঠন ও উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা হলো বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি, ঝুঁকিভাতা চালু, রেশন প্রাপ্তির হার দ্বিগুণ এবং প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করি। ১৯৯৮ সালে আমরাই প্রথম পুলিশ সুপার পদে একজন নারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ কোটি টাকা সিড মানি দিয়ে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা, পুলিশের জনবল বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ বহুমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমাদের এ সকল সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে পুলিশ বাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আমরা ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। পদমর্যাদা বৃদ্ধি, নতুন পদ সৃষ্টি এবং বিভিন্ন স্তরে বিপুল সংখ্যক পদোন্নতি প্রদানসহ গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), শিল্প পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এন্টি টেরোরিজম, কাউন্টার টেরোরিজম, নৌপুলিশ, এমআরটি পুলিশ ও এসপিবিএনসহ অনেকগুলো নতুন বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্বত্য জেলাগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় কয়েকটি ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়েছে। আমরা পুলিশ স্টাফ কলেজকে আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করেছি। আমরা থানা, ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্র, ব্যারাক, আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। রূপকল্প-২০৪১ এর সেই স্মার্ট বাংলাদেশে পুলিশকেও হতে হবে আধুনিক, যুগোপযোগী এবং স্মার্ট।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা জানান।