ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

টোল আদায় পৌনে ৭ কোটি টাকা, ৯৯ শতাংশ গাড়িই ব্যক্তিগত

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ০২, ২০২৩, ০৯:১৭ রাত  

ছবি সংগৃহীত

দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর এক মাস পূর্ণ হলো আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর)। ঢাকার যানজট নিরসনে বহুল প্রতীক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা ঢাকা উড়াল সড়কের কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয়। এর একদিন পর ৩ সেপ্টেম্বর যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

উদ্বোধনের পর এ উড়াল সড়ক দিয়ে এক মাসে গাড়ি চলেছে আট লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮টি। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই ব্যক্তিগত যান (প্রাইভেটকার), যেগুলোকে ক্যাটাগরি ১ বলা হয়ে থাকে। যার সংখ্যা ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৭টি। এক মাসে এসব গাড়ি থেকে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) কিছু বাস ছাড়া এ উড়াল সড়ক এড়িয়ে চলেছে বাকি গণপরিবহন। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, ক্যাটাগরি ২ বা মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা টোল, যার সংখ্যা ১৩৮০টি। ক্যাটাগরি ৩ বা ট্রাক (৬ চাকার বেশি) ৪০০ টাকা টোল, এ গাড়ির সংখ্যা ৪৯টি। আর ক্যাটাগরি ৪ বা সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) ১৬০ টাকা টোল, এসব গাড়ির সংখ্যা ছয় হাজার ১৪২টি। এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গড়ে প্রতিদিন গাড়ি চলেছে ২৯ হাজার ৮৭৭টি। আর দৈনিক ২৪ লাখ ১৯ হাজার টাকার টোল আদায় হয়েছে।

তবে, স্বস্তির বিষয় হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিআরটিসি বাস চলাচল করছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটের খামারবাড়ি প্রান্ত থেকে এ বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। এর মাধ্যমে গণপরিবহনে করে জনসাধারণ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে, এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এর মধ্যে কোথাও বাস থামছে না।

তিনটি ডিপো থেকে বিআরটিসির আটটি বাস যাত্রী পরিবহন করছে। বাসগুলো উত্তরার জসিমউদ্দিন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে যাত্রীদের তুলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সরাসরি ফার্মগেট আসছে।
অন্যদিকে, ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি ও বিজয় সরণী থেকে বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নিচ্ছে বিশেষ এ বাস সার্ভিস।

খেজুরবাগান থেকে এয়ারপোর্ট রোড পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার যাত্রার জন্য ৩৫ টাকা এবং জসিমউদ্দিন রোড পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার যাত্রার জন্য ৪০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া হবে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে এ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আপাতত বাস ভাড়ায় টোল যোগ না হওয়ায় এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সময়ে টোলের খরচ যোগ করে বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের টোল ১৬০ টাকা