জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রেস রিলিজ
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ১২:২৮ রাত

আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের চৌদ্দতম দিনের বৈঠকে যথারীতি অংশগ্রহণ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈঠকের শুরুতে জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়, যার মধ্যে ছিল পুরনো ঘূর্ণায়মান আসন পদ্ধতি, তিনটি সাধারণ আসন মিলিয়ে একটি সংরক্ষিত নারী আসনের পদ্ধতি, এবং একটি নতুন প্রস্তাব যাতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ নারী রাখতে বাধ্য করা হবে। তবে এসব প্রস্তাবনার বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যদিও এনসিপির পক্ষ থেকে ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছিল।
এনসিপির পক্ষ থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন একটি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ‘FPTP + Top-up’ মডেল প্রস্তাব করেন। এই মডেলটি প্রতিনিধিত্ব ও গণতান্ত্রিক ভারসাম্যের একটি বাস্তবসম্মত সমাধান হিসেবে কমিশনে তুলে ধরা হয়। কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে আরও কিছু গঠনমূলক প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়, তবে আলোচনাটি আজকের দিনে শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিত থাকে।
বৈঠকের দ্বিতীয় ভাগে কমিশনের পক্ষ থেকে ‘উচ্চকক্ষ’ বা Upper House গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। তারা প্রস্তাব করে, জেলা পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ৭৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে। এনসিপি এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নয় এবং বলেছে, শক্তিশালী চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নিশ্চিত করতে উচ্চকক্ষ অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা গঠিত হতে হবে জাতীয় ভোটের সংখ্যানুপাতিক ভিত্তিতে যাতে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে। কিছু রাজনৈতিক দল উচ্চকক্ষের প্রয়োজনীয়তাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে মন্তব্য করলে এনসিপি তার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে।
আজকের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব জাবেদ রাসিন এবং মনিরা শারমিন। জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে, নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ এবং শক্তিশালী সংসদীয় কাঠামো ছাড়া একটি টেকসই গণতন্ত্র কখনোই প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।