ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক ওভারে ৬ ছক্কা মারলেন সবুজ

স্পোর্টস ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ১০:০৮ রাত  

ছবি সংগৃহীত

ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত। স্বপ্নের মতো শুরু করা ওভারের বাকিটা জুড়ে ছিল কেবলই দুঃস্বপ্ন! ইয়াসিনের পরের পাঁচটি বৈধ ডেলিভারীর সঙ্গে একটি নো বলেও ছক্কা মেরেছেন সবুজ আলী।

আজ সোমবার মিরপুরের সিটি ক্লাব মাঠে ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে নারায়ণগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করছিল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব। ৪৯ ওভার শেষে ধানমন্ডির রান ছিল ৬ উইকেটে ২৪০। সেখান থেকে শেষ ওভারে ৩৭ রান যোগ করেন সবুজ। সেটাও ইনিংসের শেষ ওভারের টানা ছয় ছক্কার সৌজন্যে।

ছয় ছক্কা খাওয়ার আগে বোলার ইয়াসিন আরাফাত অবশ্য শেষ ওভারের প্রথম বলে উইকেট পেয়েছিলেন। ১১ বল খেলে ২২ রান করা এ কে শাকিল কট বিহাইন্ড হন। শাকিলের বিদায়ে ক্রিজে আসেন সবুজ। এরপরের চার বলে টানা চারটি ছক্কা মারেন সবুজ। পরের বলটি নো বল হওয়ায় ছয় বলে ছয় ছক্কা মারার সুযোগ পেয়ে যান সবুজ। তিনি নো বলটিও ছক্কা মারেন, মেরেছেন ফ্রি হিটেও।

আরও পড়ুনঃ মাঠেই নামাজ আদায় রিজওয়ানের, আইসিসিতে নালিশ

সব মিলিয়ে ইয়াসিরের এক ওভারে ৩৭ রান পেয়ে যায় ধানমন্ডি। তাদের ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ২৭৭ রানে। জবাবে ৮ উইকেটে ২১০ রানে থামে নারায়ণগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমি। ছয় ছক্কা মারা সবুজ ৭ ওভার বোলিং করে ৪৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন অবশ্য ধানমন্ডির হয়ে ১০২ রান করা আবু তাইহান।

ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট দ্বিতীয়বার কাউকে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারতে দেখল। এর আগে ২০০৯ সালের নভেম্বরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের মার্শাল আইয়ুবের এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন গাজী ট্যাংকের নাঈম ইসলাম।