ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মিয়ানমার থেকে ফের মর্টারশেল পড়ল বাংলাদেশে, সীমান্তে আতঙ্ক

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ৩১, ২০২৪, ০৭:১৫ বিকাল  

ছবি সংগৃহীত

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ও দুপুরে এবং বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের ঘুমধুমের তুমব্রু, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া, টেকনাফের হোয়াক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বাসিন্দারা।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালেও মিয়ানমারে ছোড়া মর্টারশেল তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় উদ্ধার করা হয়েছে। তুমব্রুর স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিমের বসতভিটা থেকে মর্টারশেলটি উদ্ধার করেন এলাকাবাসী।

 এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফরিদ আলম বলেন, গতকাল রাতে মর্টারশেলটি পড়ার পর আজ ভোরে এটিকে উদ্ধার করে আমরা বিজিবিকে দিয়েছি।

তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী সাংবাদিক শ. ম গফুর এ তথ্য নিশ্চিত করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। তাছাড়া, তুমব্রু ও হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন এলাকাবাসী।টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, মিয়ানমার অংশে গোলাগুলিতে তাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে।এ দিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সীমান্তের এসএসসি পর স্থানান্তর করা হবে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও জনমনে এখনও আতঙ্ক কাটেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তুমব্রু সীমান্তে মর্টারশেল উদ্ধারের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।এ দিকে মঙ্গলবার দুপুরেও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে সীমান্তের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখেছেন এলাকাবাসী।

উলুবনিয়া জামান সখিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরোজা খানম রাহি বলেন, আমার বাড়ি উলুবনিয়া গ্রামের সীমান্তের কাছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তের কাছে গুলির শব্দ হলে ভয়ে স্কুলে যেতে পারিনা। পড়াশোনা করতে পারিনা।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া, মিয়ানমারে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় রাখাইন প্রদেশের সাধারণ জনগণ তীব্র খাদ্য সংকটে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার পথ খুঁজছেন।

এরই প্রেক্ষিতে সীমান্তে সতর্কতা বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ইতোপূর্বে দুদফায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে তিনি সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।