ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানাধীন চরপলিশা এলাকায় চাঞ্চল্যকর রিথি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামীকে শেরপুর জেলা হতে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ১১:৩৭ রাত  

ছবি সংগৃহিত

র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর জেলার সদর থানাধীন জঙ্গলদী এলাকা হতে আসামীকে গ্রেপ্তার

                                                                                                                                                 
বাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪০), পিতা-মোঃ হায়দার আলী, সাং-চরপলিশা, থানা-মেলান্দহ, জেলা-জামালপুর এর মেয়ে ভিকটিম মোছাঃ রিথি (১৫), নবম শ্রেনীতে পড়ালেখা করাকালীন আসামী মোঃ মাহমুদুল হাসান রাব্বি (২২), পিতা-মোঃ আল মামুন, সাং-চরপলিশা, থানা-মেলান্দহ, জেলা-জামালপুর এর সহিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তাহারা গত অনুমান ০৬ মাস পূর্বে পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। উক্ত বিবাহ ভিকটিমের শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন মেনে নিতে পারে নাই। প্রায়শই ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করত। ভিকটিমের স্বামী মোঃ মাহমুদুল হাসান রাব্বি বাড়ীর সবাইকে বলে যে, ভিকটিমকে মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিতে। এহেন ঘটনা ভিকটিম মোছাঃ রিথি (১৫) বাদীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বাদী ভিকটিমকে শ্বশুড় বাড়ীতে মিলে-মিশে ঘর-সংসার করার জন্য পরামর্শ দিতেন। বাদীর পরামর্শ মতো ভিকটিম স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ীর অন্যায় অত্যাচার সহ্য করেও ভিকটিম সংসার করতে থাকে। কিন্তু ভিকটিমের শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পায়তারা করতে থাকে। 

এহেনবস্থায় গত ২০/০৯/২০২৩ ইং তারিখ রোজ বুধবার বিকাল অনুমান ০৩:৩০ ঘটিকার সময় আসামী মোঃ আল মামুন (৫২), পিতা-মৃত আজিজুল হক মন্ডল, সাং-চরপলিশা, থানা-মেলান্দহ, জেলা-জামালপুরসহ বাড়ীর লোকজন মিলে ভিকটিমের উপর অমানবিক অত্যাচার করতে থাকে। পরবর্তীতে বাদীর ছোট ভাই মোঃ আবু তালেব (২৩), চরপলিশা বাজারে বাজার করতে গেলে একই গ্রামের মৃত হাইপদ মন্ডল এর ছেলে মোঃ কফিল উদ্দিন (৫৫) এর মাধ্যমে জানতে পারেন যে, ভিকটিমকে বিবাদীগণ সবাই মিলে মারধর করতেছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের চাচা ভিকটিমের শ্বশুড় বাড়ীতে গেলে ভিমটিম এর মৃত দেহ দুচালা টিনের বসত ঘরের মেজেতে ফেলে রাখিয়া সকল বিবাদীগণ পালিয়া যায়। বাদীর ভাই বাদীকে এবং থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ মৃত দেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। উক্ত সময়ে বাদী ও বাদীর স্ত্রী ঢাকায় ছিলেন। ভিকটিমের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বাড়ীতে এসে ভিকটিমের চাচার নিকট ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। পরবর্তীতে নিহতের বাবা জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানায় হাজির হইয়া বাদী হয়ে ০৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করলে অফিসার-ইন-চার্জ, জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার মামলা নং-১৯/২৫০, তারিখঃ ২১/০৯/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। উক্ত ঘটনার পর র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রাখে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামীকে চিহ্নিত এবং অবস্থান নিশ্চিত করে উক্ত ঘটনার মামলা দায়ের ৪ (চার) দিনের মধ্যে অদ্য ২৫/০৯/২০২৩ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১৫:০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল শেরপুর জেলার সদর থানাধীন জঙ্গলদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামী ১। মোঃ আল মামুন (৫২), পিতা-মৃত আজিজুল হক মন্ডল, সাং-চরপলিশা, থানা-মেলান্দহ, জেলা-জামালপুরকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত আসামীকে জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানায় সূত্রোক্ত মামলা মোতাবেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।