বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
বিডি ট্রি. ২৪ নিউজ ডেস্কঃ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা রাজপথে নামলে তারা পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না। বিএনপির সমাবেশে এখন অনেক নেতাকর্মীদের দেখতে পাচ্ছি। তাদের কীভাবে গর্তে ঢুকাতে হয় সেই ওষুধ আমাদের জানা আছে। প্রয়োজনে প্রয়োগ করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তেলের দাম বাড়াতে বিএনপি এখন বর্ষাকালের পুঁটি আর মলা মাছের মতো একটু লাফাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পর সমগ্র পৃথিবীতে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ৬০ ডলারের তেল ১৭০ ডলারে গিয়েছে। আমাদের দেশে তেলের দাম ৩৮-৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশে তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। তাই বিএনপির এই পুঁটি ও মলা মাছের মতো লাফালাফির কোনো প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের তাড়িয়ে দিতে হবে। বিএনপির সমাবেশে আমরা কখনো বাঁধা দিইনি, দেবোও না। নিজেরা যখন মারামারি করে তখন তো অন্য কারও বাধা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। যদি পেট্রোলবোমা বাহিনীদের দেখি, তখন কিন্তু আমরা বসে থাকবো না, প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কাগজে দেখলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, সরকার নাকি বিদেশিদের চাপে সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না। আমাদের নেত্রী কয়দিন আগে বলেছেন, আমরা বিএনপির সমাবেশে বাধা দেবো না। আমরা কোনো বাধা দেইনি। কিন্তু দেখলাম, গতকাল তারা নিজেরাই মারামারি করে নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। সমাবেশ ডাকলে যারা নিজেরাই চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে, নিজেরা মারামারি করে সমাবেশ পণ্ড করে সেখানে বাধাতো আমাদের দেওয়ার দরকার নেই। ভবিষ্যতেও দেখবেন, যখনই বিএনপি সমাবেশ ডাকবে তখনই নিজেরা পণ্ড করে দেবে।’
রাঙ্গুনিয়ার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা
সভায় সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার। সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, জহির আহমদ চৌধুরী, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিস আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, আবু তাহের, এমরুল করিম রাশেদ, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। সূত্রঃ আমাদের সময়
Leave a Reply