বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় ডিজিটাল হ্যাকার চক্রের ফাঁদ থেকে জনগনকে সচেতন করতে উপজেলা ব্যাপি সতর্কতামূলক মাইকিং করেছে ”সোনারতরি-৭১” নামের একটি সংগগঠন। সংগঠনটির সভাপতি ও বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুল ইসলাম মুক্তার উদ্যোগে বুধবার ( ১০ আগষ্ট ) সকাল থেকে শুরু করে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এই মাইকিং করা হয়।
মাইকিং এ বলা হয়, সূধী এলাকাবাসি, সম্প্রতি বাঘা ও পার্শ্ববর্তি থানা লালপুরে আশংকাজনকভাবে ডিজিটাল হ্যাকার চক্র বেড়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মানুষ তাদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে। ওই সমস্ত ডিজিটাল প্রতারক চক্র বিভিন্ন নাম্বার থেকে আপনার মোবাইলে কল করে পিন নম্বর বা অন্যান্য তথ্যাদি চাইলে তা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং নিকটস্থ শিক্ষিত ব্যাক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টি নিজ নিজ থানায় জানিয়ে রাখুন। তা না হলে প্রতারক চক্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধবমুলক কর্মসূচীর আওতাধিন, যেমন বয়স্কভাতা,বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ প্রবাসী ভাইদের প্রেরনকৃত টাকা যে কোন সময় হাতিয়ে নিতে পারে । তাই ওই সমস্ত ডিজিটাল প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিজে সতর্ক হউন এবং অন্যকে সতর্ক করুন। সেই সঙ্গে আপনার এলাকায় এই রকম ডিজিটাল প্রতারকচক্রের সন্ধান পেলে তা নিকটস্থ থানায় অবগত করুন। মনে রাখবেন, আপনার একটু অসাবধানতায় আপনি সর্বশান্ত হতে পারেন। আপনাদের শুভকামনায় সোনার তরী-৭১, বাঘা রাজশাহী।
এমন ব্যাতিক্রমধর্মি জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সংগঠনটির সভাপতি মাইনুল ইসলাম মুক্তা বলেন, যদিও হ্যাকারচক্র সারাদেশেই আছে, তবে আমাদের বাঘা থানা ও পার্শ্ববতি লালপুর থানায় আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিজিটাল প্রতারকের সংখ্যা। তাদের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারি বিভিন্ন সংস্থা মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও তাতে বন্ধ না হয়ে তাদের সংখ্যা দিন দিন ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। খুব কষ্ট লাগে যখন শুনি, একজন প্রতিবন্ধি যখন দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাঙ্ঘিত টাকা উত্তলন করতে গিয়ে দেখে, ওই সমস্ত ডিজিটাল প্রতারক চক্রের কেউ টাকাটা হাতিয়ে নিয়েছেন তখন তার বুকফাটা আর্তনাদে। যখন দেখি, একজন প্রবাসী ভাই অবর্ননীয় কষ্ট করে দেশে বাবা/মা,ভাই/বোন, কিংবা স্ত্রী-পরিজনের নিকট টাকা পাঠায় সেই টাকা হ্যাক করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা আমোদফুর্তি করে। আমরা দুই উপজেলার প্রতিটা এলাকায় তিন টি ভ্যানগাড়ির সমন্বয়ে সচেতনতামূলত মাইকিং করছি। আগামি তিন দিন ব্যাপি আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। পাশাপাশি আগামিতে ডিজিটাল প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সামজিক আন্দোলন গড়ে তুলব।
এদিকে সোনার তরী- ৭১ এর এমন কার্যে গ্রামগঞ্জ হাট বাজার থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপক প্রসংশা করেছেন অনেকেই। সু-শীল সমাজের ব্যাক্তিজনরাও তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
মুক্তা পিকিউ নামক ( ইংরেজী) আইডি থেকে প্রচার কৃত অংশ পোষ্ট করায় উক্ত আইডিতে করা কিছু কমেন্টস নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো।
এমডি সাকিদ হাসান অভি (ইংরেজী) লিখেছেন, ”ধন্যবাদ “সোনারতরী ৭১” এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। অনেক ভালো উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। এখন প্রসাশন এর উচিত, দ্রুত এইসব হ্যাকারদের এবং এদের আশ্রয়- প্রশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় এনে থেরাপি দেওয়া”।
এ আর আনিসুর রহমান ( ইংরেজী) লিখেছেন, ”বিশেষ করে পাকুরিয়া ইউনিয়ন এর এক নম্বর ওয়ার্ডে কিছুসংখ্যক ফকিন্নির বাচ্চা আছে কিন্তু তারা জীবন-যাপন করছে বিলাসবহুল, তাদের গাড়ি-বাড়ি সবকিছু হয়ে গেছে । এজন্য গোপন তথ্য প্রেরণের পর , প্রত্যেকটা ইয়ং ছেলেদের নাম জরিপ করে বাঘা থানা (আইনের) আওতায় আনা উচিত”।
মোঃ মাসুম ইসলাম লিখেছেন, ”ধন্যবাদ সোনার তরী ৭১’ এর সকলকে, এখন সবাইকে এক হয়ে প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে হবে।আরা মাদক,হ্যাকারমুক্ত বাঘা চাই”।
Leave a Reply