1. admin@bdtribune24.com : admin :
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৩:০৫ অপরাহ্ন

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১২ জুন, ২০২২
  • ৮৬ বার পঠিত

ফাইল ছবি

 

বিডিটি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আজ রোববার সকালে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার করোনা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা নেই। গতকাল শনিবার হাসপাতালে তার শ্বাসকষ্ট (সাফোকেশন) দেখা দিলেও, আজ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে না। দুশ্চিন্তা করার মতো পরিস্থিতি নেই। তিনি কথা বলতে পারছেন।

শায়রুল কবির খান আরও জানান, বাসার ব্যক্তিগত সহকারীরা হাসপাতালেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া তার ভাই, বোন ও ভাবি নিয়মিতভাবে তাকে দেখে যাচ্ছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাত ৩টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। এর পরদিন শনিবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিলে সেখানে তার সুচিকিৎসা হতো এবং মানসিকভাবে তিনি সুস্থ থাকতেন। এখনো তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ আছে। তাকে সে সুযোগ দেওয়া হলে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করি। তিনি বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। সমাজে তার যে অবস্থান সে অনুযায়ী তার সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

জানা যায়, সরকারের নির্বাহী আদেশে ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ছিলেন। ‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন তিনি।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত মার্চ মাসে শর্ত অপরিবর্তিত রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ওই দিনই গুলশানের বাসায় ফিরেন খালেদা জিয়া।

গত ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ১৩ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। এরপর দীর্ঘদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীন চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১টি মামলার মধ্যে ২০১৫ সালের প্রথম ৩ মাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। অপর মামলাটি মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের নিয়ে দেশদ্রোহী মন্তব্য করার অভিযোগে ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এ তিনটি মামলা ঢাকার আরও তিনটি বিশেষ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ১৫ আগস্ট ‘ভুয়া জন্মদিন’ পালনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলা ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি অগ্নিসংযোগের মামলাসহ আরও বেশ কয়েকটি মামলা কুমিল্লার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সূত্র: আমাদের সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 BD Tribune 24
Theme Customized By Shakil IT Park