বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় দলছুট কালোমুখো একটি হনুমান কলেজ ক্যাস্পাসে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। রোববার (৫ জুন) সকাল থেকে হনুমানটি উপজেলা সদরে শাহদৌলা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। এটি দেখার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে শিক্ষার্থীদের বসার স্টান্ডে বসে ছিল হনুমানটি। একে দেখতে উৎসুক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে দুর থেকে দেখছিলেন আর আনন্দ করছিলেন। কেউ কেউ হনুমানকে খাবার এগিয়ে দিলে নিয়েই দিচ্ছে দৌঁড়। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা এই হনুমানকে ঘিরে আনন্দ করতে দেখা গেছে। হনুমানটি কখনো ছাঁদে আবার কখনো নিচে নেমে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কলেজের প্রভাষক আব্দুল হানিফ মিঞা জানান, কলেজে প্রবেশ করে চোখ পড়ে ছাদের উপরে কালোমুখো হনুমান বসে আছে। পিঠ ও দেহের ওপরের লোম গাঢ় ধূসর-বাদামি। বুক-পেট ও দেহের নিচ, লালচে-বাদামি ও সোনালি রংগের। লোমবিহীন মুখমন্ডল, হাত ও পায়ের পাতা কুচকুচে কালো। মাথা এমনভাবে ঢেকে রেখেছে, মনে হচ্ছে যেন টুপি পরে রয়েছে।
কলেজের আরেক প্রভাষক আহম্মেদ বেলাল জানান, হনুমানটি খাদ্যের অভাবে দলছুট হয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে এই এলাকায় এসেছে। খাবারের সন্ধানে ছুটছে কখনো বাসাবাড়ি, আবার কখনো এখানে সেখানে ও গাছের ডালে।
বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শতদল কুমার পাল জানান, হটাৎ করে কলেজে ক্যাম্পাসের ভেতরে একটি হনুমানের আগমন ঘটে। এটি দেখার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভীড় করে। সচরাচর এধরনের হনুমান এ এলাকায় দেখা যায় না। এটি এলাকায় নতুন ধরনের হনুমান। তাই সবার মাঝে একটু আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রোকনুজ্জামান জানান, এক সময় সুন্দরবন-পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে প্রচুর কালোমুখো বড় প্রজাতির হনুমান দেখা যেত। খাদ্যাভাবে দলছুট হয়ে ওই এলাকা চলে এসেছে। আকার-আকৃতির বর্ণনায় মনে হচ্ছে এ প্রজাতির হনুমান বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। তাই একে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান বলা হয়।
Leave a Reply