1. admin@bdtribune24.com : admin :
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

বর্ণিল পাখি কাঠময়ূর

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৫ জুন, ২০২২
  • ১৬৭ বার পঠিত

 

 

বিডিটি নিউজ ডেস্ক:

বিশালাকারের পেখম না থাকলেও সৌন্দর্যে দৃষ্টি কাড়ে কাঠময়ূর। যদিও পাখিটি দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে।কাঠময়ূর বড় আকারের ধূসর পাখি। এদের দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৫৬ সেন্টিমিটার। ডানা ২১ সেন্টিমিটার। ঠোঁট ২.১ সেন্টিমিটার, পা ৭.২ সেন্টিমিটার, লেজ ৩১ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৭৩০ গ্রাম। পুরুষ ময়ূরের চেহারা ও আকার স্ত্রী পাখির থেকে কিছুটা আলাদা। পুরুষ ময়ূরের মাথা ও ঘাড় বাদামি-পীতাভ। মাথার চূড়ার পালক ছোট ও খাড়া। পিঠে ধূসর-বাদামি ফোঁটা দেখা যায়।

পাখিটর কোমর ও লেজের উপরের পালকে সাদা ডোরা দেখা যায়। ডানার পালকে ও লেজের প্রান্তে বেগুনী ও সবুজ রঙের চক্র আছে। থুতনি ও গলা সাদাটে। দেহতলের বাকি অংশে সাদা ডোরা থাকে। স্ত্রী ময়ূর পুরুষ ময়ূরের তুলনায় ছোট ও অনুজ্জ্বল। মাথায় খাটো চূড়া দেখা যায়। ডানা ও লেজের চক্র অস্পষ্ট। স্ত্রী ও পুরুষ উভয় পাখির চোখ সাদা, মুখের চামড়া হলুদাভ, ঠোঁট হালকা পীত বর্ণের। ঠোঁটের আগা ও মধ্যভাগ কালো। পা ও পায়ের পাতা মলিন স্লেট-রঙ বা কালচে। অপ্রাপ্তবয়স্ক ময়ূর স্ত্রী ময়ূরের মত।

কাঠময়ূর চিরসবুজ বনতলের ঘন ঝোপঝাড়ে ও বনের প্রান্তে বিচরণ করে। সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। এরা ঝোপের মাঝে বা খোলা মাঠে চুপিসারে খাবার খুঁজে বেড়ায়। খাদ্যতালিকায় আছে বীজ, শস্যদানা, ফল, পোকামাকড়, শামুক বা ক্ষুদ্র প্রাণী। ক্বচিৎ ডেকে ওঠে: অক্-কক্-কক্-কক্-কক্।

মার্চ-জুন এদের প্রজনন কাল। এ সময় পুরুষ কাঠময়ূর ঘন ঘন ডাকে। ঝোপের নিচে মাটির প্রাকৃতিক গর্তে ডিম পাড়ে। ডিমগুলো সংখ্যায় ২-৫টি হয়। ডিমগুলোর বর্ণ পীতাভ থেকে চকটলেট-পীতাভ, ডিমের উপর সাদা ছিটে থাকে। ডিমগুলোর মাপ ৪.৬ × ৩.৬ সেন্টিমিটার। কেবল স্ত্রী ময়ূর ডিমে তা দেয়। পুরুষ কাঠময়ূর এসময় আশেপাশেই থাকে আর বাসা পাহারা দেয়। ২১ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। ফোটার সাথে সাথেই ছানারা বাসা ছাড়ে ও মায়ের পিছুপিছু খাবার খুঁজতে শুরু করে।

সূত্র:  বাংলাদেশ জার্নাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 BD Tribune 24
Theme Customized By Shakil IT Park